Bismillahir Rahmanir Rahim

Logo Not Loaded

INTERNATIONAL HUMAN RIGHTS
CRIME REPORTERS FOUNDATION

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংবাদ সংস্থা, একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন

Reg no : S-3819(608)2004

Central Office: 180/C, Hazaribagh Bazar, Phonix Leather Complex (4th Floor), Hazaribagh, Dhaka.

Mobile: 01916717622 (Director), 01671363224 (IT)
Email: crimewatchreport@gmail.com, Website: www.ihcrf.com

সাংগঠনিক ধারা

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংগঠনিক ধারা নিম্নরূপ

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্স ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের কর্তৃক প্রদত্ব সাংগঠনিক ধারার মধ্যে আইনের পরিস্থিতি হলে সেই ধারা বাতিল বলে গণ্য হবে। নিম্ন লিখিত ধারা বাস্তবায়িত না হলেই মানবাধিকার অহরহ লঙ্গন হবে।

অপরাধ প্রতিরোধ ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিক সংস্থা: মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিম্ন ধারাগুলি সর্বক্ষেত্রে স্বীকৃত।

ধারা-১:
বন্ধুহীন অবস্থায় এবং সম-মর্যাদা ও অধিকারাদি নিয়ে সকল মানুষই জন্মগ্রহণ করে। বৃদ্ধি ও বিবেক তাদের অর্পন করা হয়েছে এবং ভ্রাতৃত্বসূলভ মনোভাব দিয়ে তাদের একে অন্যের প্রতি আচরণ করা উচিত।

ধারা-২:
যে কোন প্রকার পার্থক্য যথাঃ-জাতি, গোত্র, বর্ণ নারী-পুরুষ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক বা অন্য মতবাদ, জাতীয় বা সামাজিক উৎপত্তি, সম্পত্তি, জন্ম বা অন্য মর্যাদা নির্বিশেষে প্রত্যেকেই ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত সকল অধিকার স্বাধিকার স্বত্ববান। অধিকন্তু কোন ব্যক্তি যে দেশ বা অঞ্চলের অধিবাসী, তা স্বাধীন, অধিভুক্ত এলাকা, স্বায়ত্তশাষিত অথবা অন্য যে কোন প্রকার সীমিত সার্বভৌমত্বর মধ্যে থাকুক না কেন, তার রাজনৈতিক সীমানাগত ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার ভিত্তিতে কোন পার্থক্য করা চলবে না।

ধারা-৩:
প্রত্যেকেরই জীবন ধারণ, স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তা অধিকার রয়েছে।

ধারা-৪:
কাউকে দাস হিসেবে বা দাসত্বে রাখা চরবে না, সকল প্রকার দাস প্রথা বা দাস ব্যবসা নিষিদ্ধ থাকবে।

ধারা-৫:
কাউকে নির্যাতন অথবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক অথবা অবমাননাকর আচরণ অথবা শাস্তি ভোগে বাধ্য করা চলবে না।

ধারা-৬:
আইনের স্বপক্ষে প্রত্যেকেরই সর্বত্র ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভের অধিকার রয়েছে।

ধারা-৭:
আইনের কাছে সকলেই সমান এবং কোনরূপ বৈষম্য ব্যতিরেকে সকলেরই আইনের দ্বারা সমভাগ রক্ষিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। এই ঘোষনাপত্র লংঘণকারি কোনরূপ বৈষম্য বা এই ধরনের বৈষম্যের কোন উস্কানির বিরুদ্ধে সমভাবে রক্ষিত হওয়ার অধিকার সকলেরই রয়েছে।

ধারা-৮:
যে কার্যাদির ফলে শাসনতন্ত্র বা আইন কর্তৃক প্রদত্ত মৌল অধিকারসমূহ লঙ্ঘিত হয় সে সবের উপযুক্ত জাতীয় বিচার আদালতের মারফাত কার্যকর প্রতিকার লাভের অধিকার প্রতেকেরই রয়েছে।

ধারা-৯:
কাউকে খেয়াল খুশিমত গ্রেফতার, আটক অথবা নির্বাসন করা যাবে না।

ধারা-১০:
প্রত্যেকেরই তার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ এবং তার বিরুদ্ধে আনীত যে কোন ফৌজদারি অভিযোগ নিরূপনের জন্য পূর্ণ সমতার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও রিপেক্ষ বিচার আদারতে ন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্যে শুনানি লাভের অধিকার রয়েছে।

ধারা-১১:
ক. যে কেউ কোন দন্ডযোগ্য অপরাধ অভিযুক্ত হলে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, এমনকি গণআদালত কর্তৃক আইন অনুযায়ী দোষী সাবস্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ বলে বিবেচিত হওয়ার অধিকার রয়েছে।

ধারা-১২:
কাউকে তার ব্যক্তিগত গোপনিয়তা, পরিবার, বসতবাড়ি বা চিঠিপত্রের ব্যাপারে খেয়াল খুশিমত হস্তক্ষেপ অথবা সম্মান সুনামের ওপর আক্রমন করা চলবে না।

ধারা-১৩:
ক. প্রত্যেক রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে চলাচল ও বসতি স্থাপনের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে।

ধারা-১৪:
ক. নির্যাতন এড়ানোর জন্য প্রত্যেকেরই অপর দেশসমূহে আশ্রয় প্রার্থনা ও ভোগ করার অধিকার রয়েছে।

খ. অরাজনৈতিক অপরাধসমূহ অথবা জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও মূল নীতিবিরোধী নাও যেতে পারে।

ধারা-১৫:
ক. প্রত্যেকেরই একটি জাতীয়তার অধিকার রয়েছে।

খ. কাউকে যথেষ্টভাবে তার জাতীয়তার থেকে বঞ্চিত করা অথবা তাকে তার জাতীয়তা পরিবর্তন অধিকার অস্বীকার করা চলবে না।

ধারা-১৬:
ক. পূর্ণ বয়স্ক ও নারীদের জাতিগত, জাতীয়তা অথবা ধর্মের কারণে কোন সীমাবদ্ধতা ব্যতিরেকে বিবাহ করাও পরিবার গঠনের অধিকার রয়েছে। বিবাহের ব্যাপারে বিবাহিত অবস্থা বিচ্ছেদকালে তাদের সমধিকার রয়েছে।

খ. কেবল বিবাহ ইচ্ছুক পাত্র-পাত্রীর অথবা পূর্ণ সম্মতির দ্বারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে।

গ. পরিবারে হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক ও মৌলিক একক গোষ্ঠী, সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার এর রয়েছে।

ঘ. পুরুষরা পুরুষস্বত্ত উন্নয়ন ও নারীরা নারীস্বত্ত উন্নয়নের দ্বারা উম্মুক্ত করা।

ধারা-১৭:
ক. প্রত্যেকেরই একাকী এবং অপরের সহযোগীতায় সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকার রয়েছে।

খ. কাউকে তার সম্পত্তি থেকে খেয়াল খুশিমত বঞ্চিত করা চলবে না।

ধারা-১৮:
প্রত্যেকেরই চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। নিজ ধর্ম অথবা বিশ্বাস পরিবর্তনের স্বাধীনতা এবং একাই অথবা অপরের সহিত যোগসাজশে ও প্রকাশ্যে বা গোপনে নিজ বিশ্বাস শিক্ষাদান, প্রচার উপাসনা ও পারনের মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বাধীনতা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।

ধারা-১৯:
প্রত্যেকের মতামতের ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ এবং যে কোন উপায়াদির মাধ্যমেও রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে তথ্য ও মতামত সন্ধান, গ্রহণ ও জ্ঞাত করার স্বাধীনতা এটি অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।

ধারা-২০:
প্রত্যেকেরই শান্তিপূর্ণ সম্মিলিত হওয়ার অধিকার রয়েছে।

ধারা-২১:
প্রত্যেক্ষভাবে অথবা অবাধে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ দেশের সরকারে অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে।

ধারা-২২:
সমাজের সদস্য হিসেবে প্রত্যেকেরই সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে, প্রত্যেকেই জাতীয় প্রচেষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক সহযোগীতার মাধ্যমে এবং রাষ্ট্রের সংগঠন ও সম্পদ অনুসারে তার মর্যাদার ও অবাধে ব্যক্তিত্ব বিকাশে অপরিহার্য অনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারসমূহ আদায় করার জন্য স্বত্ববান।

ধারা-২৩:
প্রত্যেকেরই কাজ করার অবাধে চাকুরী নির্বাচনের কাজের জন্য ন্যায্য ও অনুকূল অবস্থা লাভের এবং বেকারত্ব থেকে রক্ষিত হওয়ার অধিকার রয়েছে।

ধারা-২৪:
প্রত্যেকেরই বিশ্রাম অবসর বিনোদনের অধিকার রয়েছে। কাজের সময়ের যুক্তিসঙ্গত সীমা ও ওবতনসহ নৈমিত্তিক ছুটি ও অধিকারের অন্তভর্‚ক্ত।

ধারা-২৫:
ক. নিজের ও নিজ পরিবারের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের নিমিত্তে পর্যাপ্ত জীবন মানের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সামাজিক সেবাসমূহ কার্যাদিও সুযোগ এবং বেকারত্ব, পীড়া, বার্ধক্য অথবা আনিবার্য কারণে জীবনযাপনের অন্যান্য অপারগতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এই অধিকারের অন্তর্ভক্ত।

খ. ব্যক্তিত্বেরপূর্ণ বিকাশ ও মানবিক অধিকার ও মৌলিক স্বাধীকারসমূহের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা পরিচালিত হবে। সমঝোতা ও সকল জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধুত্ব উন্নয়ন এবং শান্তি রক্ষার্থে জাতিসংঘের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করবে।

ধারা-২৬:
ক. প্রত্যেকেরই শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে। অন্ততপক্ষে প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ে শিক্ষা অবৈতনিক হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সাধারণভাবে লভ্য থাকবে এবং উচ্চতর শিক্ষা মেধার ভিত্তিতে সকলের জন্য সমভাবে উম্মুক্ত থাকবে।

খ. ব্যক্তিত্বেরপূর্ণ বিকাশ ও মানবিক অধিকার ও মৌলিক স্বাধীকারসমূহের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দৃঢ় করার উদ্দেশ্য শিক্ষা পরিচালিত হবে। সমঝোতা ও সকল জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধুত্ব উন্নয়ন এবং শান্তি রক্ষার্থে জাতিসংঘের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করবে।

গ. যে প্রকার শিক্ষা তাদের সন্তানদের দেওয়া হবে তা পূর্ব থেকে বেছে নেয়ার অধিকার পিতামাতার রয়েছে।

ধারা-২৭:
ক. প্রত্যেকেরই গোষ্ঠীগত সাংস্কৃতিক জীবনে অবাধে অংশগ্রহণ, শিল্পকলা চর্চা করা এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও তার সুফলাসমূহের পূর্ণভাবে আদায় করা যেতে পারে।

খ. প্রত্যেকেরই বিজ্ঞান, সাহিত্য অথবা শিল্পকরাভিত্তিক সজনশীল কাজ থেকে উদ্ভৃদ নৈতিক ও বৈষায়িক স্বার্থসমূহ রক্ষণের অধিকার রয়েছে।

ধারা-২৮:
প্রত্যেকেরই এমন একটি সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য স্বত্ববান যেখানে এই ঘোষনাপত্রের উল্লিখিত অধিকার ও স্বাধীকারসমূহ পূর্ণভাবে আদায় করা যেতে পারে।

ধারা-২৯:
ক. প্রত্যেকেই সমাজের প্রতি কর্তব্যাদি রয়েছে কেবল অন্তগত হয়েই তার ব্যক্তিত্বের অবাধ ও পূর্ণ বিকাশ সম্ভব।

খ. স্বীয় অধিকার ও স্বাধীনসমূহ প্রয়োগকালে প্রত্যেকেরই শুধু ঐ ধরনর সীমাবদ্ধতা থাকবে যা কেবল অপরে অধিকার ও স্বাধীনসমূহের যথার্থ স্বীকৃত ও শ্রদ্ধা নিশ্চিত প্রয়োজনসমূহ মেটানোর উদ্দেশ্যে আইনের দ্বারা নিরূপিত হয়।

গ. এই সকল অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ কালে কোন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও মূলনীতি লংঘন করা চলবে না। ধারা-৩০: এই ঘোষণায় উল্লিখিত কোন বিষয়কে এরূপভাবে ব্যাখ্যা করা চলবে না যাতে মনে হয় এই ঘোষনার অর্ন্তভ‚ক্ত কোন অধিকার বা স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে কোন রাষ্ট্র, দল বা ব্যক্তি বিশেষের আত্মনিয়োগের অধিকার রয়েছে।